বিপাশা চক্রবর্তী: পুরুষরা তো বটেই, নারীরাও নিশ্চয়ই অবাক হচ্ছেন, অদ্ভুত এই শুভেচ্ছা বার্তা পেয়ে। কিন্তু এটি মোটেও অদ্ভুত নয়। যেকোনো প্রজাতির টিকে থাকার জন্য প্রজনন ও যৌনতা একটি অত্যধিক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। মানবজাতির জন্যও।
পুরুষের অর্গাজম প্রজননের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। অনেকটা ট্রিগার থেকে ছুঁড়ে দেয়া বুলেট (বীর্য) যেন তার লক্ষ্যে ছুটে যায় অপেক্ষমাণ ডিম্বাণুকে নিষিক্ত করবার জন্য। কিন্তু নারীর অর্গাজম? সঙ্গমের সময় এটি না ঘটলেও নারী গর্ভধারণ করে এবং সফলভাবে সন্তান জন্ম দান করতে পারে। তাহলে কেন হয় নারীর অর্গাজম?
আমরা আজ চাঁদে যেতে পারি, এমনকি মঙ্গল গ্রহে বসতি স্থাপনের কথা ভাবতে পারি বাস্তব সম্মতভাবেই, কিন্তু আজও আমরা আমাদের শরীরকে পুরোপুরি জানতে পারিনি। নারীদেহ এখানে আরেকটু বেশি বিস্ময়ের অবতারণা করে।
নারীর অর্গাজম শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে মানুষকে ভাবিয়েছে। আজও বিজ্ঞানীরা এই প্রশ্নের উত্তর অনুসন্ধান করে চলেছেন। প্রশ্নটি আজকের নয়, বহু বহুকাল আগে সভ্যতার প্রথম দিকের দার্শনিক এরিস্টেটল এই প্রশ্ন তুলেছিলেন।
“যেখানে প্রজননের ক্ষেত্রে নারীর অর্গাজমের কোন ভূমিকাই নেই, তাহলে কেন ঘটে এই অর্গাজম”?
নারীর অর্গাজম কী, কেন ঘটে ইত্যাদি যখন এতো রহস্যময়তা ও অবদমনের মাঝে, তখন “ইন্টারন্যাশনাল ফিমেল অর্গাজম ডে” এর অস্তিত্ব আমাদের কাছে বিস্ময়কর হিসেবে ধরা দেবে এটাই স্বাভাবিক। এমন একটি দিন যার নামটিই অনেকের শালীনতাবোধে আঘাত হানতে যথেষ্ট। তারপরেও এদিনটির অস্তিত্ব আছে।
শুধু নারীদের জন্য কত রকম দিবসই পালিত হয়। নারী দিবস, মা দিবস, কন্যা শিশু দিবস, মাতৃদুগ্ধ দিবস আরো কত কী? কিন্তু অর্গাজমের মতো একটি স্পর্শকাতর, যৌন জীবনের আড়ালে লুকিয়ে থাকা, বহু নারীর জন্য যে অনুভূতি হয়তো আজো অধরা এবং বরাবরই নারীদের অন্য অনেক কিছুর মতো অবদমিত এই ব্যাপারটি নিয়ে পুরো একটি দিন উৎসর্গ করা হতে পারে, তা ভাবতে পারিনি। গত ০৮ আগস্ট ছিল “ইন্টারন্যাশনাল ফিমেল অর্গাজম ডে”
না, বিশ্বব্যাপী মহাসমারোহে এ দিবসটি আজও পালিত হয় না। সম্ভবত অধিকাংশ মানুষের মনেই ব্যাপারটি নিয়ে ভয় ভীতি, অজানা আতঙ্ক, সংকোচ,অজ্ঞানতা, কুসংস্কার এসব কাজ করে। নতুবা এমনকি অনেক নারী এটি নিয়ে কথা বলতে বা ভাবতে লজ্জা পান।
ফিমেল অর্গাজম ডে’কে আবার কেউ কেউ গ্লোবাল অর্গাজম ডে’র সাথে গুলিয়ে ফেলবেন না। ঐটি পালিত হয় যতদূর জানি ২২ ডিসেম্বর। এদিবসটির সাথেও আমরা ভালভাবে পরিচিত নই।
জানতে পারি, ১৯৬০ এর দশকে মার্কিন মুলুকে ‘সেক্সুয়াল রিভ্যুলিউশন’ এর কথা। নারী তাঁর বক্ষ ও কটিদেশের স্বাধীনতা অর্জনের জন্য রাস্তায় নেমেছিলেন। সেই যৌন বিপ্লবের ঢেউ বয়ে যায় আমেরিকা থেকে ইউরোপ। স্পর্শ এসে লাগে ল্যাটিন আমেরিকাতেও।
নারী মুক্তি, জন্মনিয়ন্ত্রণ, যৌন সম্পর্ক স্থাপনের স্বাধীনতা ইত্যাদির পাশাপাশি নারীর অর্গাজমের ব্যাপারটি সেবারই প্রথম মানুষকে ভাবায়। ৭০ এর দশকে এটির প্রতি মানুষের গভীর আগ্রহের জন্মায়। তারপর থেকে এখন পর্যন্ত এই ব্যাপারটি নিয়ে চলছে অনেক জল্পনা-কল্পনা অনুসন্ধান।
ইন্টারন্যাশনাল ফিমেল অর্গাজম ডে’র ইতিহাস ঘেঁটে জানা যায়, ব্রাজিলের উত্তর-পূর্ব অংশে পিয়াউই রাজ্যের ছোট একটি শহর বা পৌরসভা হচ্ছে এসপারনন্টিনা, এই ছোট্ট জনপদ থেকেই যাত্রা শুরু হয় বিশেষ এই দিবসটির। এই শহরের একজন কাউন্সিলরের নাম হোসে আরমেতিয়া দান্তেস লাসের্দা, তিনিই প্রথম সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন তাঁর স্ত্রীর প্রতি কিছু যৌন ঋণ শোধ করবেন বা যৌন ক্ষতিপূরণ দিবেন।
প্রস্তাব রাখলেন একটি দিন উৎসর্গ করা হোক নারীর জন্য সবচেয়ে বেশি উত্তেজনাকর আর অভিব্যক্তির সর্বোচ্চ বহিঃপ্রকাশে। এরপর ২০০৭ সাল থেকে প্রতি বছর ০৮ আগস্ট এই দিবস পালিত হয়ে আসছে। এখন ব্রাজিল, স্পেন, মেক্সিকো, আর্জেটিনা, পেরু এবং নরওয়ে এসব দেশে নারীর আনন্দের জন্য এই দিনটিকে উৎসর্গ করা হয়েছে। এমনকি ছুটি বা হলিডে হিসেবে পালিত হয় দিনটি। বর্তমানে এই হলিডে দিন দিন জনপ্রিয়তা পাচ্ছে। বিশেষ করে টুইটারের মতন সামাজিক মাধ্যমগুলো দিনটির তাৎপর্য সবার কাছে পৌঁছে দিয়ে দিনটিকে আরো জনপ্রিয় করে তুলছে।
শারীরিকভাবে সুস্থ এবং সুস্থ যৌন জীবনের অধিকারী এমন নারী অর্গাজমের অভিজ্ঞতা পেয়েছেন বা পেয়ে থাকেন, এমনটাই স্বাভাবিক।
নারীর জন্য অর্গাজম হচ্ছে তীব্র একটি সুখ। সাধারণভাবে সঙ্গমের সময় অনুভূত চরম পুলকের এক বিশেষ মূহুর্ত। যার ভেতর দিয়ে দেহের যাবতীয় টেনশন রিলিজ হয় বা উত্তেজনার অবসান ঘটে। এসময় যেন মস্তিষ্ক থেকে প্রেরিত তীব্র সুখের তরঙ্গ উঠতে থাকে বার বার সারা শরীর জুড়ে। যৌন অঙ্গের মাংসপেশীর ক্রমাগত সঙ্কোচন ঘটতে থাকার মধ্য দিয়ে অর্গাজম সংগঠিত হয়। অর্গাজম যে কেবলমাত্র সঙ্গীর সঙ্গে যৌনক্রিয়ার মাধ্যমেই ঘটে তা কিন্তু নয়। সঙ্গম ছাড়াও নানা প্রকারের যোগ ব্যায়াম, ফ্রি হ্যান্ড এক্সারসাইজ, মাস্টারবেশন এমনকি স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় সন্তান জন্ম দিতে গিয়েও অনেক নারী অর্গাজমের অভিজ্ঞতা পেয়ে থাকেন।
কিন্তু খুব দুঃখের কথা হচ্ছে পৃথিবীর খুব কম নারীর ক্ষেত্রেই তীব্র এই কামোদ্রেক ঘটে। অথবা পৃথিবীর খুব অল্প নারীই এই চরম আনন্দের অভিজ্ঞতা পেয়ে থাকেন। আমেরিকার ন্যাশনাল হেলথ সার্ভিস এর মতে, পৃথিবীর তিনভাগের একভাগ নারীই কেবল এই সুখের অভিজ্ঞতা পেয়ে থাকেন। তাহলে দেখা যাচ্ছে অনেক নারী আছেন যারা কখনোই অর্গাজমের স্বাদ পাননি। আর অনেক নারীর জন্য চরম এই মূহুর্তে উপনীত হতে হয় বেশ কঠিনভাবেই, অর্থাৎ তারাও খুব কমসংখ্যক বারই এ স্বাদ উপভোগ করেন বা করেছেন। নিয়মিত যারা এই অনূভূতি অনুভব করতে পারেন সেই নারীরা নিঃসন্দেহে সৌভাগ্যবান।
বেশিরভাগ সময় অর্গাজম সঙ্গীর উপরই নির্ভর করে। অর্গাজম পুরুষের ক্ষেত্রে খুব তাড়াতাড়ি ঘটতে পারে, এমনকি দু থেকে তিন মিনিটে, অন্যদিকে নারীর জন্য সময় লাগে কম করেও হলেও বিশ মিনিট। এটুকু সময় তো নারীকে দিতে হবে, যা দিতে নারাজ থাকেন অনেক পুরুষ। কিংবা তারা আসলে ব্যাপারটি জানেনই না। সফল মিলনের ক্ষেত্রে তাই ফোরপ্লে বা শৃঙ্গার এর একটি বিশেষ ভূমিকা থাকে একজন নারীকে অর্গাজমের স্বাদ এনে দেবার জন্য।
প্রচলিত আছে, প্রতিদিন একবার অর্গাজম আপনাকে ডাক্তার থেকে দূরে রাখবে। অর্থাৎ নিয়মিত সফল অর্গাজম শরীরের জন্য ভাল। নারী-পুরুষ উভয়ের জন্যই। এসময়টা শরীরের রক্তের চাপ ও গতিবেগ, হৃদস্পন্দন, শ্বাস-প্রশ্বাস সবমিলিয়ে ক্যালোরি খরচ যা হয় একটি ভাল কার্ডিওভাস্কুলার ব্যায়ামের উপকারিতার সমান। শারীরিক ব্যাথা, কষ্ট ও অনেক মানসিক দু:শ্চিন্তা থেকে আরাম বা নিরাময় দেয় অর্গাজম।
মজার ব্যাপার হচ্ছে, মিলনের সময় অনেক নারী অজান্তেই ফেক অর্গাজমের বা মিথ্যা অর্গাজমের ভান করেন। এটি সাধারণত পুরুষ সঙ্গীরা ধরতে পারেন না। নারী এখানে নিজেকে এবং সঙ্গীকেও ফাঁকি দেয়। হয়তো দেখা গেল সঙ্গীর আনন্দকে অক্ষুন্ন রাখতে নারী ফেক অর্গাজমের ভান করেন। বিরক্তির বা আর ভালো লাগছে না কিংবা উপভোগ্য নয় এমন মিলনকে সংক্ষিপ্ত করার জন্যও অনেক নারী অবেচেতনভাবেই ফেক অর্গাজমের সাহায্য নেন।
এখানে এসে মনে পড়ছে, হলিউডের বিখ্যাত একটি সিনেমা ‘ হোয়েন হ্যারী মিট স্যালী’তে ফেক অর্গাজমের একটি দৃশ্য আছে। যেখানে রেস্টুরেন্ট ভর্তি লোকজনের মাঝে বসে স্যালী তার বন্ধুর সামনে ফেক অর্গাজম দৃশ্যের অবতারণা করে। এমনি করে অনেক চলচ্চিত্রে ব্যাপারটি এসেছে। তবে এটিও দেখা গেছে নারীর ক্ষেত্রে বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে তিনি অর্গাজমের স্বাদ পাচ্ছেন ধীরে ধীরে। কেননা বয়স বাড়ার মধ্যে জীবন সঙ্গীর সঙ্গে একটি শারীরিক মানসিক বোঝাপড়া তৈরি হয়ে যায়। আবার নিজের শরীর সম্পর্কেও জানা হয়। তাই কমবয়সী নারীদের তুলনায় একটু বেশি বয়সের নারীদের মধ্যে মিলনের সময় অর্গাজমে পৌঁছানোর হার বেশি।
নারীর যৌন আকাঙ্ক্ষার ক্ষেত্রে অর্গাজম ব্যাপারটির ইতিহাস যতটকু পাওয়া যায় পুরোটাই প্রায় অবদমনে ঢাকা। বিশেষ করে সমাজ কর্তৃক অবদমন। কিন্তু এখন আমরা এমন একটি সময়ে বাস করি যখন ভাইব্রেটরস, ডিলডোর ছড়াছড়ি। যদিও আমাদের মতো পিছিয়ে থাকা সমাজে এসব বস্তু সহজলভ্য নয়, তবুও আমাদের প্রজন্মের ছেলেমেয়েদের মুখে আমি এসবের নাম শুনেছি। তবে আমাদের সমাজ, কী উন্নত সমাজ পুরুষের যৌন চাহিদা মেটানোর জন্য পৃথিবীর প্রায় সকল সমাজই বেশ উদারতার পরিচয় দেয়, এটা বলাই বাহুল্য।
নারীর অর্গাজম নিয়ে অনেক থিওরী প্রচলিত আছে। অনেক বিশেষজ্ঞ এটিকে পুরুষের স্তন থাকার সাথে তুলনা করেন। প্রজননে পুরুষের স্তনের যেমন কোন ভূমিকা নেই তেমনি। আসলেই কি প্রজননে নারীর অর্গাজমের কোনই ভূমিকা নেই? কেউ কেউ বলেন মিলনের সময় পুরুষের সাথে নারীর অর্গাজম একই সঙ্গে ঘটলে বোনাস হিসেবে কাজ করে, ফলে পুরুষের স্পার্মকে জরায়ু বার বার সংকোচনের মধ্য দিয়ে নিজের দিকে টেনে নিতে পারে। ফলে শুক্রাণুর লক্ষ্য ভেদ সহজ হয়। কিন্তু নারীর অর্গাজম না ঘটলেও গর্ভধারণ সম্ভব।
অর্গাজমের সাথে গর্ভধারণের কোন সরাসরি যোগসূত্র এখানেও নাও থাকতে পারে। এভাবে বিজ্ঞানীরা দিনের পর দিন ব্যাপারটি নিয়ে ভেবেছে। শেষমেষ তারা শরণাপন্ন হয় হরমোনের। সেই দুটি হরমোন, অক্সিটোসিন ও প্রোলাক্টিন, (Oxytocin, prolactin) যা নারীর অর্গাজমের সময় উৎপাদিত হয় বা নারী দেহে তৈরি হয়। অতি সম্প্রতি বিজ্ঞানীরা নারীর অর্গাজম বিষয়ক তাদের এই গবেষণার কথা বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশ করেছেন।
বিজ্ঞানীরা বলছেন, নারীর অর্গাজমের সাথে তারা বিবর্তনীয় যোগ সূত্র খুঁজে পেয়েছেন। এটা আমাদের পূর্ব-পুরুষ এপ এনসেস্টরদের কাছ থেকে পাওয়া। নারীর অর্গাজমের সাথে বিবর্তন কীভাবে যুক্ত তা জানতে হলে জানতে হবে সেই হরমোন সম্পর্কে যা অর্গাজমের সময় নারী দেহে উৎপাদিত হয়। হরমোন অক্সিটোসিন ও প্রোলাক্টিন। অক্সিটোসিন আবার ‘লাভ হরমোন’ নামেও বিশেষভাবে পরিচিত। কারণ এটি লাভ মেকিং বা সংগমের সাথে সম্পর্কিত। এই হরমোন নারীর উর্বরতা, ডিম্বাণু পরিফুস্টন, গর্ভধারণ, প্রসব, দুগ্ধদান ইত্যাদির সাথে গভীরভাবে সম্পর্কিত।
অন্যদিকে ‘প্রোলাক্টিন’হরমোন বিশেষভাবে প্রসুতি মায়ের জন্য দরকারী। নবজাতককে দুধ পান করানো, মায়ের স্তনে দুধ তৈরিতে সাহায্য এমনকি সন্তান হবার পর মায়ের আচরণে পরিবর্তন আনতে সাহায্য করে এই হরমোন, এছাড়া রোগ প্রতিরোধেও কাজ করে। আদর ভালবাসা স্নেহ মমতার সাথে যুক্ত যে কোন সক্রিয় কাজে সঙ্গে এই হরমোন সম্পর্কিত।
গবেষণায় দেখা গেছে প্রিয় কুকুরটির সাথে খেলা করবার সময়েও মানুষের শরীরের অক্সিটোসিন তৈরি হতে পারে। কিন্তু নারীদের ব্যাপারটা আলাদা কারণ তাদের সন্তান ধারণ করতে হয় এবং লালন করতে হয়। একারনে তাদের শরীরে এই হরমোন উৎপাদিত হতে হয় প্রয়োজনীয় মাত্রায়। অনেক সময় নারীদেহে এই দুই হরমোনের তারতম্যে উর্বরতা শক্তির উপরও প্রভাব ফেলে।
নারীর অর্গাজমের সাথে সম্পর্কিত হরমোন বিষয়ক গবেষণায় বিজ্ঞানীরা আরো গুরুত্বপূর্ণ তথ্য খুঁজে পেয়েছেন। যেমম- অক্সিটোসিন’এর নির্গমন নারী দেহে অনেক অসুখ-বিসুখের বিরুদ্ধে কাজ করে। স্তন ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়। ফ্রি র্যাডিক্যালস এবং ক্যান্সার সৃষ্টি করতে সক্ষম এমন পদার্থের মাত্রা কমায়। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকাটি হলো ডিএনএ ড্যামেজ হওয়াকে বাধা প্রদান করে অক্সিটোসিন।
জীবনযাপনের নানা পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার দরুন আমাদের শরীরে নানা রকম ক্ষতিসাধন হতে থাকে যেগুলো আমরা ফল শাকসবজি ভিটামিন ইত্যাদি দ্বারা প্রতিহত করতে পারি। ঠিক সেভাবে আমাদের ডিএনএ একই রকম ক্ষতির মুখে পড়ে। আর তা থেকে রক্ষা করে অক্সিটোসিন। আর এভাবেই পরবর্তী প্রজন্ম সুস্থ ও সুরক্ষিত থাকার পথ তৈরি হয় নারীর অর্গাজমের ফলে তার শরীরের তৈরি হওয়া হরমোনের কার্যকারিতার কারণে।
সুতরাং, অর্গাজম নিয়ে আর লজ্জা নয়। বছরে একদিন নয়, বরং প্রতিদিন অথবা যেদিন সঙ্গীর সাথে মিলিত হবে,সেদিনটিই যেন হয় তোমার “হ্যাপি, অর্গাজম ডে”!
তথ্যসূত্র:
মেডিক্যাল ডেইলি
দ্য গার্ডিয়ান
ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস টাইমস