শ্রীলংকায় দুই দশকের বেশি সময় ধরে চলতে থাকা গৃহযুদ্ধ অবসানের মাত্র ১০ বছর হয়েছে। এখন আবার সহিংসতার আঘাতে কেঁপে উঠছে দ্বীপটি। সংঘবদ্ধ আত্মঘাতী সিরিজ বোমা হামলায় নিহত হয়েছেন ৩’শর বেশি মানুষ। এখানে পেশ করা বই তিনটি পাঠকের কাছে তুলে ধরবে দেশটির বৌদ্ধ সংখ্যাগরিষ্ঠ ও তামিল সংখ্যালঘুদের মধ্যকার উত্তেজনা ও পূর্বাপর সমন্ধ যার কারণে শ্রীলঙ্কার সাধারণ জনগণকে কতটা মূল্য দিতে হয়েছে।
দিস ডিভাইডেড আইল্যান্ড
জীবন, মৃত্যু এবং শ্রীলংকান যুদ্ধ
সামন্ত সুব্রামানিয়ান
৩৩৬ পৃষ্ঠা, থমাস ডান বুকস (২০১৫)
শ্রীলঙ্কার গৃহযুদ্ধ যা প্রায় ৩০ বছরের কাছাকাছি সময় ধরে চলেছে। সংখ্যালঘু তামিল গোষ্ঠী ও সিংহলী বৌদ্ধদের মধ্যকার উত্তেজনা থেকে জন্ম নেয়া রক্তাক্ত সংঘর্ষ শেষ হয় ২০০৯ সালে। সুব্রামানিয়ান যুদ্ধ ও তাঁর পরবর্তী ঘটনা বর্ণনা করেছেন, অনুসন্ধান করেছেন যুদ্ধ ও বিপুল মৃত্যু কিভাবে একটি দেশ ও জনগণের পরিবর্তন ঘটায়।
আইল্যান্ড অফ আ থাউজেন্ড মিররস
নাওমি মুনায়েরা
২৪২ পৃ। সেন্ট মার্টিন প্রেস (২০১৪)
উপন্যাসটি দুইজন নারীর দৃষ্টিকোণ থেকে বর্ণনা করা হয়েছে। যোশাধারা এবং সরস্বতী। দুই নারীর জীবন একে অপরের সঙ্গে সংযুক্ত হয় যখন তামিল নারী সরস্বতীকে গ্রেফতার করে একদল সিংহলী সৈন্য । ভারত মহাসাগরের একফোঁটা অশ্রবিন্দু শ্রীলঙ্কার রক্তাক্ত হৃদয় যেন মানবীয় অক্ষর ছাড়াই নিজে থেকেই এখানে প্রাণবন্ত, কখনো দ্যুতিময়, ভাষার ব্যবহার শুধুমাত্র বর্ণনার জন্য।
রানিং ইন দ্য ফ্যামিলি
মাইকেল ওন্দাতজি
২০৮ পৃ। ভিন্তেজ ইন্টারন্যাশনাল(১৯৮৩)
এই স্মৃতিকথায়, ওন্দাতজি, যিনি তাঁর উপন্যাস “দ্য ইংলিশ পেশেন্ট” এর জন্য বুকার পুরস্কার জিততে যাচ্ছিলেন, তিনি লিখেছেন ১৯৭০ এর দশকের শেষ দিকে তার জন্মভূমি শ্রীলংকায় ফিরে আসার বিষয়ে। তিনি তার ওলন্দাজ-সিংহলিজ পরিবারে ঐতিহ্যে ডুবে যান এবং ১১ বছর বয়সে তাঁর পরিবার চলে যাওয়ার আগে ১৯৪০ সালের শ্রীলংকায় বেড়ে ওঠার বর্ণনা করেন।
সূত্র: দ্য নিউ ইয়র্ক টাইমস পত্রিকায় প্রকাশিত নিবন্ধ অবলম্বনে